About us

স্কুল পরিচিতি
খিলবাড়ীরটেক এলাকায় অবহেলিত, অশিক্ষিত উন্নয়নবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের ক্রমবর্ধিষ্ণু জনগোষ্ঠির মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে নিরক্ষর গণমানুষকে শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ তথা সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দক্ষ বৈশ্বিক নাগরিক হিসাবে দ্রুত উন্নয়নশীল বিশ্বের সাথে। তাল মিলিয়ে চলার প্রত্যয়ে সমাজ সচেতন, শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব ফজলুর রহমান চেয়ারম্যান (সাবেক বৃহত্তর সাতারকুল ইউনিয়ন পরিষদ) সাহেবের নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৮১ সালে বিদ্যালয়টির আত্মপ্রকাশ।তিনি সমাজের প্রতিটি মানুষকে তার প্রচেষ্টার সাথে সংযুক্ত করেন। তারই অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কারণে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন। সমাজ হিতৈষী, শিক্ষানুরাগী ও ভাগ্যের উন্নয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিবর্গের অনুপ্রেরণায় মরহুম আলহাজ্ব সোহরাব মিয়া, মরহুম সোবহান মিয়া ও মরহুম জরিমননেছা বিদ্যালয়টির জন্য মোট ৩৫ শতক জমি দান করেন। তাঁদেরই দানকৃত জমির উপর সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব ফজলুর রহমান এর প্রচেষ্টায় ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসে ছোট পরিসরে একটি টিন শেড ভবনের উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমে এটি ছিল একটি জুনিয়র (৮ম শ্রেণি পর্যন্ত) স্কুল যা পরবর্তীতে উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। এটি বর্তমানে অত্র এলাকা তথা ভাটারা থানার মধ্যে অন্যতম বৃহত্তর বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে এর দুটি অনুমোদিত শিফ্ট (দিবা ও প্রভাতি) বিদ্যমান। এবং প্রায় ৬০ জন শিক্ষক, কর্মচারী রয়েছেন। যার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ঈর্ষণীয় ও ক্রমবর্ধমান। বিদ্যালয়টি সহ-শিক্ষার একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। প্রভাতি শাখায় শিশু হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সহ-শিক্ষা (বালক-বালিকা একত্রে পাঠদান) এবং ৪র্থ হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র বালিকাদের পাঠদানের ব্যবস্থা।
অন্যদিকে দিবা শাখায় ৪র্থ শ্রেণি হতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শুধুমাত্র বালকেরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়ে থাকে। উভয় শাখায়/শিফটে একাধিক শ্রেণি শাখার কার্যক্রম বিদ্যমান। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট তিনটি বহুতল ভবন রয়েছে। এর দুটি ৪র্থ তলা বিশিষ্ট ভবন এবং অপরটি ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট ভবন।